ঘরমুখো মানুষের ঈদ মহাসড়কে

গত ১৪ জুলাই থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত লকডাউন শিথিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরপর থেকে শুরু হয় ঘরমুখো মানুষের আগমন। এবং কোরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে অনেক পশুবাহী গাড়ি রাজধানীতে প্রবেশ করে। তবে এখন ঘরে ফেরার পালা। ঘরমুখো মানুষ প্রিয়জনের সাথে ঈদ উদযাপন করতে রওনা দিয়েছে বাড়ির উদ্দেশ্যে। কিন্তু পৌঁছানো হলোনা গন্তব্য উদযাপন করা হল না ঈদ। রাস্তায় কেটে গেল অনেক ঘরমুখো মানুষের ঈদ।

ঈদের দিনও ১২ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজট দেখা দিয়েছে মহাসড়কে। উত্তরবঙ্গের বহু মানুষে পৌঁছাতে পারেনি গন্তব্যে। মহাসড়কে কেটেছে তাদের ঈদ।
গত মঙ্গলবার রওনা দিয়েও পৌঁছাতে পারেনি গন্তব্যে। যানজট কেটেছে সকাল ৮ টার দিকে।
যার ফলে ঈদের নামাজও আদায় করতে পারেনি অনেকেই। পরিবারের সাথে ঈদ না করতে পেরে ম্লান হয়েছে অনেকের ঈদ আনন্দ।

বাসে দুই আসনে একজন করে বসার কারণে বৃদ্ধি পেয়েছে পরিবহনের সংখ্যা। পরিবহনের থেকে পশুবাহী ট্রাকের সংখ্যায় তুলনামূলক বেশি।
এছাড়া এলেঙ্গা থেকে দুই লেন ও সড়ক দুর্ঘটনার কারণে বেশ কিছুদিন ধরেই সৃষ্টি হয়েছে যানজটের।
ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে দেখা দিয়েছে এই যানজট।

এই যানজটে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। খাবার, প্রসাব, পায়খানা‌ নিয়ে ভোগান্তি দেখা গেছে যাত্রীদের। অনেকেই অসুস্থ হয়ে গেছেন যাত্রাপথে।
এমনি দুর্ভোগের শিকার হয়েছেন আব্দুল মোতালেব নামের একজন যাত্রী। যার গন্তব্যস্থল রংপুর। তিনি জানান,
মঙ্গলবার দুপুরে রওনা দিয়েছিলাম রংপুরের উদ্দেশ্যে কিন্তু সকালেও এলেঙ্গা পার হতে পারেনি। ঈদের নামাজও কপালে জুটল না।

কুষ্টিয়ার যাত্রী শেফালী বেগম বলেন,পরিবারের সাথে ঈদ করতে বাসায় যাব বলে রওনা দিয়েছিলাম কিন্তু এখনো পৌছাতে পারলাম না। আবার বৃহস্পতিবারই ফিরতে হবে ঢাকায়।

পুলিশের সাথে কথা বললে পুলিশের একজন সাব-ইন্সপেক্টর জানান, যানজটের অবসান হয়েছে সকাল ৮ টার দিকে এখন সড়ক স্বাভাবিক তবে পশুবাহী ট্রাকের চাপ আছে।

ঘরমুখো মানুষের ঈদ

এইচ এম || ভোক্তাকণ্ঠ

ভোক্তা অধিকার সংক্রান্ত সংবাদ দেখুন